পোস্টগুলি

নভেম্বর, ২০২০ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

নিউটনের মহাকর্ষ সূত্র : বর্ননা ও ব্যাখ্যা

ছবি
  ১৬৮৭ সালে   স্যার আইজাক নিউটন   মহাবিশ্বের যে কোন ‌দুটি   বস্তুর   মধ্যকার আকর্ষণ বলকে একটি সূত্রের সাহায্যে ব্যাখ্যা করেন।একে সার্বজনীন আখ‍্যা দেওয়া হয়েছে। এটি   নিউটনের মহাকর্ষ সূত্র   নামে পরিচিত। সূত্রটি হলো: "এই মহাবিশ্বের প্রতিটি বস্তুকণা একে অপরকে নিজের দিকে আকর্ষণ করে এবং এই আকর্ষণ বলের মান বস্তু কণাদ্বয়ের  ভরের  গুণ ফলের সমানুপাতিক, এদের মধ্যবর্তী দূরত্বের বর্গের ব্যাস্তানুপাতিক এবং এই বল বস্তুদ্বয়ের কেন্দ্র সংযোজক সরলরেখা বরাবর ক্রিয়া করে।" মনে করি,  {\displaystyle m_{1}}  এবং  {\displaystyle m_{2}}  ভরের ২টি বস্তু পরস্পর  {\displaystyle r}  দূরত্বে অবস্থান করছে। নিউটনের সূত্র অনুযায়ী ২টি বস্তু এ পরস্পরকে আকর্ষণ করছে।  {\displaystyle m_{1}}  বস্তুটি  {\displaystyle m_{2}}  বস্তুটিকে  {\displaystyle F_{1}}  বল দ্বারা এবং  {\displaystyle m_{2}}  বস্তুটি  {\displaystyle m_{1}}  বস্তুটিকে  {\displaystyle F_{2}}  বল দ্বারা আকর্ষণ করছে। অর্থা...

শতকরা সংযুতি নির্নয় : NaOH

ছবি
শতকরা সংযুতি কিভাবে নির্ণয় করা যায় কোন যৌগের প্রতি 100 গ্রামে ঐ যৌগের উপাদান মৌলের যত গ্রাম থাকে সেই পরিমানকে ঐ মৌলের শতকরা সংযুতি বলে। শতকরা সংযুতি থেকে কোন যৌগে বিদ্যামান উপাদান মৌলগুলির শতকরা পরিমাণ জানা যায়। কোন যৌগের শতকরা সংযুতি নির্ণয় করতে হলে ঐ যৌগের আণবিক ভর জানা প্রয়োজন। আবার ঐ যৌগের উপাদান মৌলগুলি কি পরিমানে আছে তাও জানা দরকার। কোন যৌগের আণবিক ভর থেকে তার উপাদান মৌলগুলির নির্দিষ্ট পরিমাণের শতকরা হিসেব করলে ঐ যৌগের শতকরা সংযুতি পাওয়া যায়।  যেমনঃ NaOH এর আণবিক ভর  = 23+16+1 = 40 গ্রাম। যৌগটিতে সোডিয়াম (Na) আছে 23 গ্রাম, অক্সিজেন (O) আছে 16 গ্রাম এবং হাইড্রোজেন (H) আছে 1 গ্রাম। অতএব NaOH এর শতকরা সংযুতি নিম্নরূপ : NaOH যৌগে Na এর শতকরা সংযুতি  = 23x100 ÷ 40 = 57.5% NaOH যৌগে O এর শতকরা সংযুতি  = 16x100 ÷ 40 =40% NaOH যৌগে H এর শতকরা সংযুতি  = 1x100 ÷ 40 =2.5%  সুতরাং NaOH যৌগটিতে উপাদান মৌল Na, O, H এদের শতকরা সংযুক্তি যথাক্রমে 57.5% ; 40% ; 2.5%. একইভাবে, আমরা যে কোন যৌগের শতকরা সংযুতি একই পদ্ধতিতে হিসাব করতে পারি।

কেলাস কি?

ছবি
কেলাস বা স্ফটিক হলো কঠিন পদার্থের একটি বিশেষ রূপ। যে সকল কঠিন পদার্থের কণাগুলো কোনো বিশেষ নিয়মে সজ্জিত থাকে তাদেরকে দানাদার পদার্থ বলে। এ জাতীয় পদার্থের অণুগুলো একটি সুনির্দিষ্ট জ্যামিতিক আকার লাভ করে। এ জাতীয় পদার্থকে সাধারণভাবে স্ফটিক বা কেলাসাকার পদার্থ বলে। ছোট ছোট স্ফটিকাকার কণাগুলো একত্রিত হয়ে কখনো কখনো বৃহদাকার স্ফটিক তৈরি করে। কেলাস বিভিন্ন রঙের হতে পারে। বিষয়টি নির্ভর করে এর উপাদানের ওপর। স্ফটিকে পানি আছে কি নাই তার উপর ভিত্তি করে কেলাসকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়। ১) অনার্দ্র কেলাসঃ এই ধরনের কেলাসে কোনো পানির  অণু যুক্ত থাকেনা। যেমন- সোডিয়াম ক্লোরাইড লবণের কেলাস। ২) সোদক কেলাসঃ এ জাতীয় কেলাস গঠনকালে কেলাসের মূল উপাদানের অণুর সাথে নির্দিষ্ট সংখ্যক পানির অনু যুক্ত থাকে। এ পানিকে কেলাস পানি বলা হয়। মূলত এই পানি না থাকলে কেলাস গঠিত হয়না। যেমনঃ তুতের কেলাস, যেখানে এক অণু কপার সালফেটের সাথে ৫ অণু পানি যুক্ত থাকে। কেলাসের ত্রিমাত্রিক জ্যামিতিক গঠনে কতকগুলো বিন্দু কল্পনা করা হয়। এই বিন্দুগুলোর অবস্থান ও দিকনির্দেশনা অনুসারে কেলাসের কণাগুলো অবস্থান করে। এ বিন্যাসকে বলা হয় কে...

ধাতব বন্ধন : গঠন ও বৈশিষ্ট্য

ছবি
কিভাবে ধাতব bonding কাজ বুঝতে একটি ধাতব বন্ধন একটি ধরনের রাসায়নিক বন্ধন যা ইতিবাচক চার্জযুক্ত পরমাণুগুলির মধ্যে গঠিত হয় যার মধ্যে বিনামূল্যে ইলেকট্রনগুলি একটি ঘনত্বের জালের মধ্যে ভাগ করা হয়। বিপরীতক্রমে, যৌগিক এবং ionic বন্ধন দুটি পৃথক অণুর মধ্যে গঠন। ধাতব বন্ধন হচ্ছে মূল ধরনের রাসায়নিক বন্ধন যা ধাতু পরমাণুর মধ্যে প্রবাহিত হয়। ধাতব বন্ধনগুলি বিশুদ্ধ ধাতু এবং আলগোছে এবং কিছু ধাতব পদার্থের মধ্যে দেখা যায়। উদাহরণস্বরূপ, গ্রাফিন (কার্বন একটি অ্যালোট্রপ) দুটি-মাত্রিক ধাতব বন্ধন প্রদর্শন করে। ধাতব, এমনকি বিশুদ্ধ ব্যক্তিরা তাদের পরমাণুর মধ্যে অন্যান্য ধরনের রাসায়নিক বন্ধন তৈরি করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, মেকুরাসিয়াস আয়ন (Hg 2 2+ ) ধাতু-ধাতু সহস্রাব্দ বন্ধনী তৈরি করতে পারে। বিশুদ্ধ গ্রীযাম আণবিকের জোড়াগুলির মধ্যে covalent bonds গঠন করে যা আবর্তিত হয় যাতায়াতের জোড়ার জন্য ধাতব বন্ধনী দ্বারা। কিভাবে ধাতুগত বন্ড কাজ ধাতু পরমাণুর বাহ্যিক শক্তি মাত্রা ( এস এবং পি অরবিটালে) ওভারল্যাপ। একটি ধাতব বন্ধনে অংশগ্রহণকারী কমপক্ষে একটি ভ্যালেন্স ইলেকট্রন একটি প্রতিবেশী পরমাণুর সাথে ভাগ ক...